Tuesday, June 30, 2015

আমেরিকায় সমলিঙ্গের বিয়ে: ইসলামী দৃষ্টিকোন

ড: জাস্সার আওদাহ
আরব বসন্ত চলাকালীন সময়ে পার্লামেন্ট বনাম শারিয়া, সেক্যুলারিজম বনাম ধর্ম, ইসলামী হুদুদ বা শাস্তির ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কে আমি বলেছিলাম যে, আমাদের দেশের প্রচলিত আইন (সংবিধান এবং দন্ড বিধি) আর ইসলামী আইন (শারিয়া এবং ফিকাহ)- এই দুটি জিনিসের মধ্যে পার্থক্য বোঝা উচিত। কিন্তু দেশের আইন আর ইসলামী আইনের পার্থক্য করার মানে এই নয় যে আমরা দেশের প্রচলিত সকল আইনকেই ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে গ্রহনযোগ্য মনে করব। যখন কোনো বিষয়ে এই দুটির মাঝে সংঘর্ষ বাঁধবে তখন মুসলিম দেশে ধর্মকেই আইনের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, আর অমুসলিম দেশে ইসলামকে মুসলিম কমুনিটির নীতি-নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
ইসলামী আইনের স্পিরিট এবং মূলনীতির বিবেচনায় আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম যখন দেখলাম যে কোনো কোনো মুসলিম ব্যক্তি, তথাকথিত স্কলার বা সংস্থা আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট সেদেশে সমলিঙ্গের মাঝে বিয়েকে বৈধতা দেয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে কোন কোন মুসলিম এর বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃনা, বৈষম্য এবং সন্ত্রাসের হুমকি দিয়েছে। এই দুটি প্রান্তিক প্রতিক্রিয়ার কোনটিই প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার প্রতিফলন নয়। যদিও এই বিষয়টি এমন যেখানে দেশের প্রচলিত আইন এবং ইসলামী আইন ও নৈতিকতার পার্থক্য সুস্পষ্ট, তথাপি এই পার্থক্যের কারনে কোনো বৈষম্য বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোনভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। কারন ইসলাম বৈষম্য এবং সন্ত্রাস সমর্থন করে না। তাই এই জটিল বিষয়ে একটি ভারসাম্যমূলক ইসলামী অবস্থান নির্ধারণের জন্য নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে:
১) রাসুল স: এর যুগে মিশ্র লিঙ্গের (হিজড়া) কিছু মানুষ মদিনায় স্বাভাবিক ভাবে বসবাস করত। নির্ভরযোগ্য হাদিস অনুযায়ী দেখা যায় যে, রাসুল স: ও সাহাবাগন তাদেরকে দয়া ও মর্যাদার সাথেই দেখতেন, এবং তারা মদিনার সকল সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে অংশ গ্রহণ করত। যেসব হাদিস কে ব্যবহার করে সমকামীদের বিরুদ্ধে ঘৃনা ও সন্ত্রাসের আহবান জানানো হয় সেগুলো সহিহ হাদিস নয় এবং এর উপর ভিত্তি করে কোনো ফতোয়া দেয়া ঠিক নয়।
২) ইসলামী বিধিতে যৌন আকাঙ্খা এবং যৌন আচরন- এই দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। ইসলামী মতে কোনো আকাঙ্খা নিজে নিজেই অপরাধ নয়। সকল ধরনের যৌন আকাঙ্খা আল্লাহর পক্ষ থেকে একধরনের পরীক্ষা। কিন্তু এই আকাঙ্খার কারণে কোনো আচরন করলে তা অন্য ব্যাপার। কোরান হাদিস মতে এটা পরিষ্কার যে, বিবাহিত একজোড়া পুরুষ ও মহিলার মাঝে ছাড়া অন্য সব যৌনকাজই পাপ। হোক তা সমলিঙ্গের মাঝে বা ভিন্ন লিঙ্গের মাঝে। পবিত্র কোরানের ভাষায় এগুলো হলো অশ্লীলতা ও ব্যভিচার- যা জ্বিনা বা অবৈধ যৌনকাজ হিসেবে গন্য।
৩) কোনো সেক্যুলার আইনে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধ করার সাথে এরূপ বিয়েকে ধর্মীয় অনুমোদন দেয়ার মাঝে পার্থক্য আছে- তা ইহুদী, খ্রিস্ট বা ইসলাম যে ধর্মই হোক। সকল একত্ববাদী ধর্ম মতেই বিয়ে একটি আল্লাহ প্রদত্ত ও অনুমোদিত বিধান; কোনো মানুষের আবিষ্কার নয়। বিশেষ করে ইসলামে সব বিয়েতেই এই প্রতিশ্রুতি দিতে হয় যে, "এই বিয়ে আল্লাহর কিতাব এবং রাসুলের স: সুন্নাত অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।" আল্লাহর কিতাব আর রাসুলের স: সুন্নাত অনুযায়ী কেবল এমন একজোড়া পুরুষ-নারীই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন যারা কিছু শর্ত পূরণ করেন; যে কোন নারী-পুরুষ ইচ্ছে করলেই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না। পবিত্র কোরানে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে যে, একজন পুরুষ তার মা, মেয়ে, বোন, খালা, ফুফু, ভাতিজি ভাগিনী, দুধ সম্পর্ক, শাশুড়ি, সৎ মেয়ে এবং অন্য বিবাহিত নারী- এদেরকে বিয়ে করতে পারে না। এই সম্পর্কগুলোর মাঝে বিয়ে করা প্রচলিত সেক্যুলার আইনেও নিষিদ্ধ। উপরোন্ত ইসলামে সমলিঙ্গের দুইজন পুরুষ বা দুইজন মহিলার মাঝেও বিয়ে নিষিদ্ধ। এগুলো ইসলামের অখন্ডনীয় অলংঘনীয় বিধান যার কোনো ভিন্ন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রযোজ্য নয়, এবং যা আলেমদের মধ্যকার মতপার্থক্যের আওতাভুক্ত নয়। এই নিষিদ্ধ করার পিছনে যুক্তি ও কারণ নিয়ে অনেক চিন্তা-গবেষণা হয়েছে, যেমন একটি ঐশ্বরিক বিধান হিসেবে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির পবিত্রতা রক্ষা করা এবং এর মহান উদ্দেশ্য হাসিল করা।
৪) আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট কর্তিক প্রদত্ত রায় টি একটি ঐতিহাসিক রায় যার মাধ্যমে আমেরিকায় বিয়ের আইনি সজ্ঞা পরিবর্তিত হয়ে যাবে এবং অন্যান্য দেশেও এর প্রভাব পড়বে। সুপ্রিম কোর্টের কোনো রায়ের মাধ্যমে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া আর গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া- এই দুটির মাঝে অনেক পার্থক্য। আদালতের মাধ্যমে এমন কোন আইন পাশ করানো উচিত হবে না যার ব্যাপারে গণতান্ত্রিকভাবে মানুষের মতামত নেয়া ও যাচাই-বিশ্লেষণ করা হয়নি। কারন বিচারকগণ কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নন। তাছাড়া অনেক সময় দলীয় রাজনীতি ও বিভিন্ন লবি-প্রেসার গ্রুপ এক্ষেত্রে জড়িত থাকে যাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোন কার্যকারিতা থাকে না। কিছু মিডিয়া কিছু জরিপ দেখিয়ে প্রমান করতে চেয়েছে যে কোর্টের এই রায় গণতান্ত্রিক ভাবেও সমর্থিত, কিন্তু গণতন্ত্র মানে তো শুধু কিছু জরিপ করা নয়। এই ধরনের একটি মহা গুরত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে গণভোটের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগনের মতামত সঠিকভাবে যাচাই করা উচিত ছিল, যাতে শুধু কিছু লবি গ্রুপের স্বার্থ প্রাধান্য না পায়।
৫) কেউ কেউ এই বলে আপত্তি তুলেন যে বিষয়টিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখা ঠিক হবে না কারণ ধর্ম ও রাষ্ট্র আলাদা জিনিষ। তারা যুক্তি দেখান যে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত জাতীয়তার উপর ভিত্তি করে, ধর্মের উপর ভিত্তি করে নয়, তাই সেক্যুলার রাষ্ট্র কি আইন করবে সে বিষয়ে উপদেশ দেয়ার অধিকার ধর্মের নেই। এই ধরনের দাবি অত্যন্ত ভ্রান্ত এই কারণে যে, তারা ধরেই নিয়েছেন সেক্যুলারিজমের সবকিছুই যৌক্তিক, আর ধর্মের সবকিছুই অযৌক্তিক। কিন্তু এর কোনো প্রমান নেই। ইসলাম অতন্ত যুক্তিসঙ্গত ভাবেই ব্যাখ্যা করেছে কি কারণে সমলিঙ্গের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা অনেক অমুসলিম দার্শনিকও স্বীকার করেন।
৬) কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় ধর্মের ভুমিকাকে অস্বিকার করার কোন যৌক্তিকতা নেই কারণ ধর্ম এখনো আমাদের আচার-আচরন গড়ে তুলে, আমেরিকাও এর ব্যাতক্রম নয়। এটিকে অস্বিকার করা মানে আমদের আধুনিক প্রচলিত অনেক আইন-কানুনের জন্মসূত্র অস্বিকার করা, যাতে অনেক আদেশ নিষেধ আছে ধর্মীয় ভিত্তির কারণেই। যেমন পুরুষ মহিলার মাঝে সম্মতি থাকলেও অজাচার (নিকটাত্বীয়দের সাথে যৌন সম্পর্ক) প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ ধর্মীয় কারণেই।
সবশেষে, ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে সমলিঙ্গের বিয়ে অবৈধ ও বাতিল হিসেবেই গন্য থাকবে। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং এর ফলস্বরূপ কোনো কিছুই কোন ধর্মের মানুষকে তাদের অধিকার, ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী জীবন যাপন করার ব্যাপারে আপোষ করতে বাধ্য করতে পারবে না। তবে একথাও বলা দরকার যে একই সাথে অন্যমতের প্রতি ইসলামের পরমতসহিঞ্চুতা, দয়া, শান্তি, ক্ষমা ইত্যাদি শিক্ষার কথা স্বরণ রাখতে হবে।
মুল লেখক: প্রফেসর অফ ইসলামিক স্টাডিজ, কার্লটন ইউনিভার্সিটি, কানাডা। ডেপুটি ডিরেক্টর, ইসলামিক লেজিসলেশন এন্ড এথিক্স, কাতার ফাউন্ডেশন
অনুবাদ ঃ সাকিব হেলাল

Thursday, May 28, 2015

ইসলামে ধর্ম ও চিন্তার স্বাধীনতা

Wednesday, May 27, 2015

ব্রিটেনে মুসলিমদের অবস্থা ও ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা সাক্ষাতকারে ড. আব্দুল বারী

Sunday, May 17, 2015

সুরা বনি ইসরাইলের আলোকে মেরাজের শিক্ষা



() শিরক না করা
    --- আল্লাহর সাথে দ্বিতীয় কাউকে মাবুদে পরিণত করো নাঅন্যথায় নিন্দিত অসহায়-বান্ধব হারা হয়ে পড়বে৷ (বনি ইসরাইল-২২)

() পিতামাতার সাথে ভালো ব্যাবহার করা
তোমার রব ফায়সালা করে দিয়েছেন
    --- তোমরা কারোর ইবাদাত করো না, একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করো,
    --- পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করো৷ যদি তোমাদের কাছে তাদের কোনো একজন বা উভয় বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে তাদেরকেউহ্‌” পর্যন্তও বলো না এবং তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিয়ো না বরং তাদের সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলো
    --- আর দয়া কোমলতা সহকারে তাদের সামনে বিনম্র থাকো এবং দোয়া করতে থাকো এই বলেঃ হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলে (বনি ইসরাইল-২৩,২৪)

() তাওবা করা
    --- তোমাদের রব খুব ভালো করেই জানেন তোমাদের মনে কি আছে৷ যদি তোমরা সৎকর্মশীল হয়ে জীবন যাপন করো, তাহলে তিনি এমন লোকদের প্রতি ক্ষমাশীল যারা নিজেদের ভুলের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে বন্দেগীর নীতি অবলম্বন করার দিক ফিরে আসে৷ (বনি ইসরাইল-২৫)

() আত্নীয়ের হক আদায় করা
    --- আত্মীয়কে তার অধিকার দাও এবং মিসকীন মুসাফিরকেও তাদের অধিকার দাও৷ (বনি ইসরাইল-২৬)

() অপব্যায় না করা
    --- বাজে খরচ করো না৷ যারা বাজে খরচ করে তারা শয়তানের ভাই আর শয়তান তার রবের প্রতি অকৃতজ্ঞ৷ (বনি ইসরাইল-২৭)

() গরীব অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো
    --- যদি তাদের থেকে (অর্থাৎ অভাবী, আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন মুসাফির) তোমাকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয় এজন্য যে, এখনো তুমি প্রত্যাশিত রহমতের সন্ধান করে ফিরছো, তাহলে তাদেরকে নরম জবাব দাও৷ (বনি ইসরাইল-২৮)

() কৃপন বা বেহিসেবী না হওয়া
    --- নিজের হাত গলায় বেঁধে রেখো না এবং তাকে একেবারে খোলাও ছেড়ে দিয়ো না, তাহলে তুমি নিন্দিত অক্ষম হয়ে যাবে
তোমার রব যার জন্য চান রিযিক প্রশস্ত করে দেন আবার যার জন্য চান সংকীর্ণ করে দেন৷ তিনি নিজের বান্দাদের অবস্থা জানেন এবং তাদেরকে দেখছেন৷ (বনি ইসরাইল-২৯,৩০)

()সন্তান হত্য না করা
    --- দারিদ্রের আশংকায় নিজেদের সন্তান হত্যা করো না৷ আমি তাদেরকেও রিযিক দেবো এবং তোমাদেরকেও৷ আসলে তাদেরকে হত্যা করা একটি মহাপাপ৷ (বনি ইসরাইল-৩১)

() ব্যাবিচার না করা
    --- যিনার কাছেও যেয়ো না, ওটা অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং খুবই জঘন্য পথ৷ (বনি ইসরাইল-৩২)

(১০) অন্যায় ভাবে হত্যা না করা
    --- আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করে দিয়েছেন, সত্য ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করো না৷ আর যে ব্যক্তি মজলুম অবস্থায় নিহত হয়েছে তার অভিভাবককে আমি কিসাস দাবী করার অধিকার দান করেছি৷ কাজেই হত্যার ব্যাপারে তার সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়, তাকে সাহায্য করা হবে৷ (বনি ইসরাইল-৩৩)

(১১) ইয়াতিমের সম্পদ আত্নসাদ না করা ওয়াদা পুরন করা
    --- ইয়াতীমের সম্পত্তির ধারে কাছে যেয়ো না, তবে হ্যাঁ সুদপায়ে, যে পর্যন্ত না সে বয়োপ্রাপ্ত হয়ে যায়৷, প্রতিশ্রুতি পালন করো, অবশ্যই প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে৷ (বনি ইসরাইল-৩৪)

(১২)ওজনে কম না দেয়া
    --- মেপে দেবার সময় পরিমাপ পাত্র ভরে দাও এবং ওজন করে দেবার সময় সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওজন করো৷  এটিই ভালো পদ্ধতি এবং পরিণামের দিক দিয়েও এটিই উত্তম৷ (বনি ইসরাইল-৩৫)

(১৩) অন্ধ আনুমান নর্ভিরতা থেকে মুক্ত থাকা
    --- এমন কোনো জিনিসের পেছনে লেগে যেয়ো না সে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই৷ নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান দিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ (বনি ইসরাইল-৩৬)

(১৪)অহংকার না করা
    --- যমীনে দম্ভভরে চলো না৷ তুমি না যমীনকে চিরে ফেলতে পারবে, না পাহাড়ের উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারবে। বিষয়গুলোর মধ্য থেকে প্রত্যেকটির খারাপ দিক তোমার রবের কাছে অপছন্দনীয়৷ (বনি ইসরাইল-৩৭,৩৮)